যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:৩৮ PM, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলার সকাল ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যে বিশ্বে প্রথমবারের মতো নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে । কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) নাইট্রোজেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা প্রথম ব্যক্তি হলেন কেনেথ স্মিথ। খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি।
নাইট্রোজেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,  আলবামার হলম্যান কারাগারে ৫৮ বছর বয়সী স্মিথের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মাস্কের ভেতরে নাইট্রোজেন গ্যাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। নাইট্রোজেন গ্যাসের কারণে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য ,২০২২ সালের নভেম্বরে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সে সময় তার শিরায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সুঁই ঢোকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর থেকে সরে আসেন আলাবামার সংশ্লিষ্টরা । পরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। আলাবামার রিপাবলিকান গভর্নরকে আইভি আলাবামা অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনার ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পর পর্যালোচনা শেষ হয়। কেনেথ স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
এই অভিনব কায়দায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের পর এই প্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ১৯৮২ সালের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য এই লিথাল ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে গ্যাস ব্যবহার করে সর্বশেষ মার্কিন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। এক অভিযুক্ত খুনিকে হাইড্রোজেন সায়ানাইড গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা ও মিসিসিপির পাশাপাশি আলবামাতেও নাইট্রোজেন দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার অনুমোদন দিয়েছে। গ্যাস প্রয়োগকে ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সবচেয়ে ব্যথা হীন ও মানবিক পদ্ধতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আলাবামা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও স্মিথের আইনজীবীরা আসামিকে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে হত্যার বিরোধিতা করেন। তাদের যুক্তি ছিল, পদ্ধতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরীক্ষামূলক, যা যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
১৯৮৮ সালের ১৮ মার্চ ৪৫ বছর বয়সী এলিজাবেথ সেনেটকে হত্যা করেন কেনেথ স্মিথ। এ ঘটনায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

আপনার মতামত লিখুন :