তাইওয়ানের আকাশে চীনের ৩৭ যুদ্ধবিমান

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:৪৪ PM, ০৯ জুন ২০২৩

বাংলার সকাল ডেস্ক:  এবার তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশ করলো ৩৭ চীনা যুদ্ধবিমান। বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ করেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তিন ডজনেরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন দেশ বলে দাবি করলেও চীন দ্বীপটিকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানকে স্বাধীনতাকামীদের হাত থেকে উদ্ধারে বলপ্রয়োগের হুমকি দিতে শুরু করেছে।

আরব নিউজের খবরে জানানো হয়, ২০২২ সাল থেকেই বেইজিং ঘনঘন তাইওয়ানের আকাশে যুদ্ধবিমান পাঠানো শুরু করে। তবে ২০২৩ সালে এসে এই প্রবেশের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে, স্থানীয় সময় সকাল ৫ টা থেকে চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমার মধ্যে দিয়ে উড়তে শুরু করে।

এরপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মোট ৩৭টি বিমান প্রবেশ করে। এসব বিমান পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে উড়ে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাইওয়ানের বিভিন্ন অংশে বিমান থেকে আক্রমণের প্রস্তুতি সাড়ছে চীন।

চীন যদিও প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এর আগে গত ৯ই এপ্রিল ৪৫টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল চীন। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় জানায়, তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। টহল বিমান, নৌযান এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।

গত ৩ বছর ধরে চীন তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমার কাছাকাছি নিয়মিত সামরিক মহড়ার আয়োজন করে আসছে। তবে গত বছর মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস এর তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগস্টে তাইওয়ান সফরে গেলে চীন পুরো তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে বড় আকারে সামরিক মহড়া চালায়। এরপর থেকে চীনের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্র দেশের আইনপ্রণেতারা নিয়মিত তাইওয়ান সফরে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন সময় তাইওয়ানের প্রতি মার্কিন সমর্থনে বেইজিং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেও তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আবার তারা দ্বীপটির স্বাধীনতাকামীদের কাছে অস্ত্রও বিক্রি করে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও তাইওয়ানের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে দেশটি তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সবচেয়ে বড় সমর্থক।

আপনার মতামত লিখুন :