সোয়া ৯ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি রেলের অগ্নিসন্ত্রাসে : রেলমন্ত্রী

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৫৬ PM, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলার সকাল ডেস্কঃ রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামাত ও তাদের দোসররা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে রেলে আগুন দিয়েছে। রেল লাইন কেটে রেল দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ের আনুমানিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সব তথ্য জানান।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত সরকার গোল্ডেন হ্যাণ্ডশেকের মাধ্যমে ১০ হাজার দক্ষ কর্মী ছাটাই করেছিলো। রেল লাইন তুলে বিক্রি করে দেয়। রেলকে অকার্যকর একটা সংস্থায় পরিণত করে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রেলের আয় ছিল এক হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা ও ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এ অর্থ বছরে রেলের মোট লোকসান হয় এক হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। তবে এ ব্যয়ের মধ্যে রেলের অবসারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া রেলের পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী-আরএনবি, স্কুল, হাসপাতালের ব্যয় বাড়ায় রেলের ব্যয় বেড়েছে, সেজন্য রেলের লোকসান কিছুটা বাড়ছে।

তিনি আরো জানান, রেলের যাত্রীবাহী ট্রেনের দৈনিক গড় আয় যেখানে সাড়ে তিন লাখ টাকা, সেখানে একটি মালবাহি ট্রেনের গড় আয় প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। তবে ৩৫০টির অধিক যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল করলেও মালবাহী ট্রেন মাত্র ২০-২৫টি চলাচল করে বিধায় রেলের আয় কিছুটা কম হচ্ছে।

সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলে মোট ৯৯টি নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে রেলওয়েতে ২৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প। অর্থাৎ মোট ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। গত এক যুগে সরকার দেশে ৯৪৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৩৪০ দশমিক ১৭ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর, এক হাজার ৩৯১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার রেললাইন পুনর্বাসন ও পুন:নির্মাণ, ১৪৮টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ২৩৮টি স্টেশন বিল্ডিং পুনর্বাসন ও পুন:নির্মাণ, এক হাজার ৬২টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৭৯৪টি রেলসেতু পুনর্বাসন ও পুন:নির্মাণ, ১৩৭টি স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, রেলের সেবা আরো আধুনিকায়নে রেলের সক্ষমতা বাড়ানো, রেল লাইন পূনর্বাসন ও নতুন রেল লাইন নির্মাণ, রোলিং স্টক সংকট নিরসনে আমদানি করা, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নতুন রেল সংযোগ স্থাপন, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, নতুন ট্রেন চালু করা, রেল ডিজটালাইজেশনসহ ২৮টি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :