রাজশাহীতে ডেভেলপার ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃশ্ব এক পরিবার

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৪১ PM, ১৬ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ডেভেলপার ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃশ্ব  হয়ে গেছে একটি পরিবার। এই ব্যবসায়ী জমি রেজিস্ট্রি করার আগেই পরিবারটির তিনতলা বাড়ি ভেঙে ফেলেছেন। এখন পরিবারটিকে অন্যের জমিতে ভাড়া থাকতে হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ী নানাভাবে জমির মালিককে হয়রানিও করছেন।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন আবু হানিফ নামের এক ব্যক্তি। তিনি নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার বাসিন্দা। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে হানিফ গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এস্টেটের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সাবেক পরিচালক। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অনেক অভিযোগ রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে আবু হানিফ জানান, দড়িখড়বোনা এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে মূল্যবান জমিতে তাঁর তিনতলা বাড়ি ছিল। এটি তাঁর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বাড়ি। গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এস্টেটের স্বত্ত্বাধিকারী এই জমিটি হাতিয়ে নিতে কৌশলে তাদের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি এই জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে আবু হানিফ এতে রাজি হন। এরপর নন-জিডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি প্রাথমিক চুক্তিনামা হয়।কিন্তু সরকারী রেজিষ্ট্রি হওয়ার আগেই মোস্তাফিজুর হানিফের তিনতলা বাড়ি ভেঙ্গে ফেলেন এবং সকল মালামাল নিয়ে যান। পরবর্তীতে হানিফ জানতে পারেন, বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতারণা করেছেন মোস্তাফিজুর। তার নামে শিল্প ও বণিক সমিতিতে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে টাকা নিলেও ক্রেতাদের তা বুঝিয়ে দেন না। হয়রানি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হানিফ বলেন, ‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছেও মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। আমি এসব জানতে পারার পরে আমি ভীত হয়ে পড়ি। আমি যেহেতু সরকারী বিধি মোতাবেক কোন দলিল সম্পাদান করিনি, তাই পরবর্তীতে আমি পাবলিক পার্টনারশিপ আইনের ম্যাধ্যমে এস কে অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গেল নামের আরেকটি ডেভলপার কোম্পানিকে জমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পরবর্তীতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমি এই প্রতিষ্ঠানকে জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিই। এরপর থেকেই মোস্তাফিজুর আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় আমাকে জেল খাটিয়েছেন।’
হানিফ বলেন, ‘মোস্তাফিজুর এস কে অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গেলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক তৌরিদ আল মাসুদ রনির নামেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন। মোস্তাফিজুর বলে বেড়াচ্ছেন, আমরা নাকি জমি জালিয়াতি করেছি। যে জমি আমি আগে কোথাও বিক্রি করিনি, সেই নিজের জমি আমি কিভাবে জালিয়াতি করেছি তা আমার বোধগম্য নয়। এই মোস্তাফিজুরের কারণে আমি নিঃশ্ব হয়ে পড়েছি। আমি তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘হানিফ বহুতল ভবন করার জন্য আমাকে জমি দিতে চান। এ জন্য তিনি আমার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নেন। পরবর্তীতে তিনি আমাকে জমি না দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :