মির্জা ফখরুল ৯ মামলায় জামিন পেলেন

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৫১ PM, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলার সকাল ডেস্কঃ রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক নয়টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

এদিন সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। এরপর রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক নয় মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের রমনার তিন ও পল্টনের ৬ মামলার গ্রেফতার এবং জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আটক দেখায়। এ মামলায় জামিন আবেদন নিম্ন আদালতে গেলে তা খারিজ হয়। পরে হাইকোর্টেও আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে কেন জামিন দোয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেই রুলের শুনানি নিয়ে আদালত রুলটি খারিজ করে দিয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন :