রাজশাহীতে তীব্র গরমে কদর বেড়েছে আখের রস ও পানীয় জুসের

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:১৫ PM, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আমিনুল ইসলাম বনি: রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপ প্রবাহ।তীব্র তাপ প্রবাহ জনজীবন বিপর্যস্ত  হয়ে পড়েছে।  রাজশাহী শহরের রাস্তায় মানুষের চলাচল একেবারেই সীমিত। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এই তীব্র দাবদহ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা জনসাধারণকে তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন। জনসাধারণ তরল জাতীয় চাহিদা পূরণের জন্যআখের রসেরও পানীয় জুসেপান করছেন।  তাই রাজশাহীতে  তীব্র গরমে আখের রসেরও পানীয় জুসের কদর বেড়েছে অনেক। প্রতিদিন সকাল থেকেই সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে এই আখের রসে ও পানীয় জুসের বেচাকেনা।
রাজশাহী শিরোইল  বাস টার্মিনাল এলাকার আখের রস বিক্রেতা জাহিদ আলী জানান, গরম বেড়ে যাওয়ায় আখের রস বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০  টাকা করে বিক্রি হয়।তীব্র তাপদাহ এবং গরমের উত্তাপ থেকে শান্তির জন্য মানুষ আখের রস পান  করছে।
 দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আখের রস বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছেন জাহিদ । তিনি আরো জানান, গরমে রসের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় জমালেও দুপুরে রস বিক্রি ব্যাপক বেড়ে যায়।
রাজশাহী  ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকার পানীয় জুস বিক্রেতা সুমন জানান, আমাদের এ জাতীয় পানীয় জুস  তৈরি করতে বিশেষ কিছু উপকরণ লাগে যেমন ইসপি অথবা ট্যাং  পানি, লবণ, লেবু। প্রতি গেলাসে পানীয় শরবত বিক্রি করে ২০ টাকা। গড়ে প্রতিদিন ৩০০ পানীয় জুস বিক্রি করি।
এদিকে রাজশাহী তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে কোন কমে কমছে না। বাতাসের আদ্রতা কম থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। তাই একটু শান্তি পেতে মানুষ আখের রস ওপানীয় জুস পান করছে।
সরজমিনের শহর করে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসেছে এই আখের রস ও পানীয় জুসের দোকান। সাহেব বাজার,জিরো পয়েন্ট, সোনা দীঘির মোড়, কোটচত্বর, ঘোড়া চত্বর, রেলগেট, স্টেশন বিনোদপুর, তালাইমারি  সহ নগরীর প্রায় দুই শতাধিক স্থানে অস্থায়ী আখের রস  ও পানীয় জুসের দোকান বসেছে।
নিউমার্কেট রাস্তার উপরে বিক্রেতা একজন জানান  সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যান্ত আখ মাড়াই করে রস প্রতি গ্লাস ২০ টাকা করে বিক্রি করে প্রতিদিন ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা রোজগার করি। এই গরমকালীন  সময়ে এই রস ব্যাপকভাবে বিক্রি হলেও এবার প্রচণ্ড গরমে বিক্রি আরো বেড়ে গেছে। ঝড়, বৃষ্টির দিনে আর শীত মৌসুমে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। তাই গ্রীষ্মকালীন সময়ে জমানো টাকা দিয়েই শীতকালীন সময়ে পরিবারের যাবতীয় খরচ চালানো হয়।
 এ ব্যাপারে রস পানকারী কলেজছাত্র বকুল জানায়, গ্রীষ্মের দিনে এক গ্লাস আখের রস শরীরটাকে শীতল রাখে। নিত্যদিনই দুপুর ও বিকালে আখের রস পান করার জন্য ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
রসপানকারী ছোট্ট শিশু আওলাদ বিন তাওহিদের মা জানান, প্রতিদিন ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে এই খানে এসে বাকধরে বসে। তাই  রিকশা থামিয়ে ছেলের চাহিদা পূরণের জন্যই রস কিনে দেই। অনেক পথচারীও সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত  রস পান করে থাকে।

আপনার মতামত লিখুন :