বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের
এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিশ্ব অস্থিরতার মধ্যেও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটে ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিলো লুটপাটের, তারা (বিএনপি) এ বাজেটকে লুটপাটের বাজেট বলে কি করে? তাদের সময় কি পরিমাণ বাজেট ছিলো? আজকে তা কি হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। ৮-৯ অর্থবছরে কি ছিলো বাংলাদেশ, আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটের কৃচ্ছতাসাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। বিশ্ব অস্বস্তিকর অবস্থার পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে। সোমালিয়াসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে খাদ্য সংকট চলছে।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কি ছিলো? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিলো। কিন্তু বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে। তবে সব সংকটই সমাধান হয়ে যাবে দ্রুত। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে অস্থির অবস্থা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকার এগুলো কি মানা যায়?
তিনি বলেন, অনেক দেশের নেতারাই শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। সারা বিশ্ব শেখ হাসিনার প্রশংসা করলেও এ দেশের বিরোধী দলের লোকরা একটা ধন্যবাদও দিতে পারে না। এ দেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধীদল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে। কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি কারণেই মানুষ কষ্টে আছে। সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা করা হতো। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ কখনো হামলা করেনি। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিএনপি অবাধভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।