চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলেই ১৯ নং ওয়ার্ড আধুনিক ওয়ার্ডে পরিণত হবেঃ কাউন্সিলর সুমন

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:২১ PM, ০১ জুন ২০২৩

মো আমিনুল ইসলাম (বনি) : রাজশাহী  সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। ওয়ার্ড গুলোর নানা সমস্যার সমাধানের আশ্বাস এবং নির্বাচনী বিজয়ী হতে পারলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সহযোগিতায় আমার ওয়ার্ডে আমি যথাসাধ্য উন্নয়ন করেছি। পুনরায় নির্বাচিত হলে নিরাপদ ও বাসযোগ্য  ওয়ার্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আবারো ওয়ার্ডবাসির উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করার  আশাবাদ ব্যক্ত করলেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এবারের পদপ্রার্থী তৌহিদুল হক সুমন।
রাসিকের সবচাইতে বেশি জনসংখ্যা অধুষ্যিত এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পূর্ববর্তী সময়ে তেমন কোন নাগরিক সুযোগ সুবিধা না পেলেও বিগত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি সেক্টরে ছোয়া উন্নয়নের। যেটি এখনো চলমান রয়েছে। তিনি তিনি তার কাউন্সিলর পদে ৫ বছর থাকাকালীন উল্লেখযোগ্য  উন্নয়ন কার্যক্রমের  বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন , আমি দায়িত্ব নেবার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় হাজারখানেক মানুষকে বয়স্ক ভাতাসহ আড়াইশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। যেটা পূর্ববর্তী সময়ে কখনোই এতো বেশি পরিমাণে হয়নি। এছাড়াও নতুন করে আরো একশজন প্রতিবন্ধীকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিনোদন সেবাকে নিশ্চিত করতে ছোটবনগ্রাম এলাকায় একটি শিশু পার্ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্টেডিয়াম থেকে শিরোইল কলোনী হয়ে ভদ্রা পারিজাত লেক পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ সম্পন্ন হলে শিরোইল কলোনী এলাকায় ছোয়া লাগবে আধুনিকতার। চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ব্যবসায়ি মহল ও নগরবাসির কাছে। ১৯৬ জন তালিকাভুক্ত বস্তিবাসির প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে নগদ ১৫ হাজার টাকা করে। এছাড়াও ৪৪ জনকে দেয়া হয়েছে ১০ হাজার আর ৪২ জনকে দেয়া হয়েছে নয় হাজার করে। প্রশিক্ষিত নাগিত আর মুচিদেরকে আর্থিক সহোযোগিতার জন্য দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও করেনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে ২২৯৬ জন অসহায় আর খেঁটে খাওয়া মানুষকে কয়েক দফায় জন প্রতি নগদ ২৫০০ টাকা অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। এবং একশ পরিবারকে দেয়া হয়েছে নগদ একহাজার করে। করোনাকালিন ১০ হাজার ২০০ জন ব্যক্তিকে সহোযোগিতা করা হয়েছে চাল দিয়ে। আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ করে উদ্ভব হওয়া উর্দ্ধগতির এই বাজারে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য কেনার জন্য সরকারের বিশেষ সহোযোগিতা হিসেবে দেয়া হয়েছে ৬০০ পরিবারকে ‘ওএমএস’ কার্ড। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সহোযোগিতায় শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ৫ম তলা আর ছোটবনগ্রাম আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়টি ৬ তলায় উন্নীত করা কাজ প্রায় শেষের দিকে।
তারপরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার জনগণকে সাথে নিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খোলা ড্রেনকে বক্স ড্রেনকরণ, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্ট্রীট লাইট সংযোগসহ এলাকার উন্নয়নে নানাবিধ ভূমিকা রেখেছি। সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে ডেঙ্গু মশা নিধনে আমরা ৬৫ নং ওয়ার্ডে সর্বত্র যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যা এখনও চলমান। আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সুখে-দুঃখে তাদের সাথে থেকেছি এবং ইনশাআল্লাহ আগামীতেও পাশে থাকব।
কাউন্সিলার তৌহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, এখন নির্বাচন আমার উন্নয়নমূখি কর্মকান্ড পরিকল্পিতভাবে বাধাগ্রস্থ করার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপবাদ ও দুর্নাম ছড়ানোর মাধ্যমে একধরনের কৃত্রিম জটিলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মানুষ নানামাধ্যমে সেটি প্রচার করছে। যেটি কিনা অপপ্রচার বললেও ভুল হবে না। কিন্তু আমি মনে করি তারা এই অপপ্রচারের মাধ্যমে নিজেদের অজান্তেই আমারই প্রচার করছে।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার তৌহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, জনগণের উপর আশাবাদি ইনশাআল্লাহ আমি আবার জয়ী হবো। আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড বাসীর সেবা করার সুযোগ চেয়ে দোয়া চাই। করোনাকালীন ও নানাবিধ বাধাবিপত্তি আর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমার দায়িত্বকালিন সময়ে ওয়ার্ডবাসির জন্য কি করেছি সেই সিদ্ধান্তের দায়ভার আমি সেবাগ্রহীতা আর এলাকাবাসির উপরই ছেড়ে দিলাম।

আপনার মতামত লিখুন :