জাপানের হিরোশিমায় বিশ্বের সাত বৃহৎ অর্থনীতির দেশকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোটের শীর্ষ সম্মেলন আজ শুক্রবার (১৯ মে) শুরু হয়েছে।
জোটভুক্ত দেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা এতে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া এই নেতাদের সঙ্গে রয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দার লিয়েন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল।
এছাড়া শুক্রবার সকালে জানা যায় সম্মেলনে স্বশরীরে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।
গত বছরের মতো এবারো জি-৭ জোটের সম্মেলনের প্রধান এজেন্ডা বা আলোচনার বিষয় হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এবারের সম্মেলনে রাশিয়ার ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসবে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র যেন রাশিয়া তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি দেখা হবে। এছাড়া আগে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল সেগুলোতে যেন কোনো ফাঁক-ফোঁকর না থাকে সেটির ওপর জোর দেবেন জি-৭ জোটের নেতারা।
সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, এবার যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছে সেগুলো সাজানো হয়েছে— রাশিয়া যেন যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না পায়, নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করার ফাঁক-ফোঁকরগুলো খুঁজে না পায়, রাশিয়ার জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা আরও কমানো এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রাশিয়ার অ্যাক্সেস আরও কমানোর লক্ষ্য নিয়ে।
এছাড়া এই সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী চীনের প্রভাব বিস্তার নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে জোটের মধ্যে কিছুটা বিভেদ দেখা দিতে পারে। জোট নেতাদের বৈঠক শুরুর আগেই ফ্রান্সের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন এই সম্মেলন যেন ‘চীন বিরোধী জি-৭’ এ পরিণত না হয়।
এছাড়া শুক্রবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল বলেছেন, তাদের লক্ষ্য হলো— চীনের সঙ্গে একটি ‘স্থিতিশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক বজায় রাখা।
এদিকে সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘোষণা দেন রাশিয়ার উৎপাদিত কপার, নিকেল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে তার দেশ। ধারণা করা হচ্ছে, জি-৭ জোটও এই পদাঙ্ক অনুসরণ করবে।
এর আগে ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হীরা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। যদিও তার এ ঘোষণা অনেকটা প্রতীকী বলা যায়। কারণ আগে থেকেই রুশ হীরার ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে দেশটি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান