সোমবার ( ০১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান অডিটোরিয়ামে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি সরকার আদমজী জুট মিল সহ ২০/২৫টি জুট মিল বন্ধ করে দিয়ে রাতারাতি হাজার হাজার শ্রমিককে বেকার করে দিয়েছিল। ২০০২ সালে কুচক্রীদের পরামর্শে খালেদা জিয়া রাজশাহী রেশম কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। ফলে সূতা তৈরির সাথে জড়িত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের লক্ষাধিক পরিবার রাতাতারি বেকার হয়ে যায়। আজও সেটি প্রায় বন্ধই আছে। রেশম গবেষণা কেন্দ্রসহ যেটুকু চালু আছে সেখানকার শ্রমিকেরা বেতন ভাতা-ঠিক মতো পাচ্ছেন না। আমি পরিস্কারভাবে বলতে চাই এই রেশম কারখানার একটি শ্রমিককেও ছাটাই করা যাবে না। সেরিকালচারে যারা কাজ করছেন, তারা সেখানেই কাজ করবেন। বেতন-ভাতা নিয়ে আসার জন্য আমরা চেষ্টা করবো। এটিকে পুর্নাঙ্গভাবে চালু করতে যদি নাও পারা যায়, আংশিকভাবে চালু করার জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তারপরও এটি আলোর মুখ দেখেনি। আমরা এখন এটিকে আলোর মুখ দেখাতে চাই।
রাসিক মেয়র বলেন, পোশাক শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারণ দেশে পরিণত হয়ছে। বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো ডলার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। বাংলাদেশ এখন জাহাজ তৈরি করছে। বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বিশ্বের উন্নত দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ বিমান তৈরি করবে, সেই দিনটি আমরা দেখতে চাই।
রাজশাহীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। উন্নয়নে রাজশাহীকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি। এখন কর্মসংস্থান দিতে হবে। আমার নির্বাচনী ইশতেহারের একটা স্লোগান থাকবে, সেটি হবে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চামড়া শিল্প পার্ক অনুমোদন দিয়েছেন। সেটির কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। বিসিক শিল্পনগরী-২ ও চামড়া শিল্প পার্কে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনেক কঠিন হবে। এটি হবে প্রযুক্তি নির্ভর। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আমি আবারো মেয়র নির্বাচিত হলে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহরের কয়েকটি জায়গায় করা হবে। সেখানে তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণ নিবে, দক্ষতা অর্জন করবে।
জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোহেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, সদস্য মোখলেসুর রহমান কচি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আবু সেলিম। সঞ্চালনা করেন জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি বাবর আলী, যুগ্ম সম্পাদক মুজাহার আলী, আইনুল হক, একেএম শহিদুল ইসলাম, সিদ্দিক,সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, কাবাতুল্লাহ্, জয়েদ,হুমায়ুন কবির স্বপন, জামিউল করিম সুজন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শামিম উদ্দিন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার আলী, অর্থ সম্পাদক আফজাল, সহ অর্থ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক গনেস প্রামানিক, সহ দপ্তর সম্পাদক দেবব্রত সিনহা দেবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা লতিফা সিদ্দিকা প্রমুখ।