‘ব্রাজিল এবার শুধু নেইমারের ওপর নির্ভরশীল নয়’

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:৩৬ PM, ০৫ নভেম্বর ২০২২

গত দুই বিশ্বকাপে (২০১৪ ও ২০১৮) দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারের ওপর নির্ভরশীল ছিল। মূলত তাকে কেন্দ্র করেই খেলার কৌশল সাজানো হত।

কিন্তু এবার কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে ব্রাজিল শুধু নেইমারের ওপর নির্ভরশীল নয় বলে মনে করেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু। শুধু নেইমার নয়, এবার দলগত হিসেবে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে কোচ তিতের ব্রাজিল।

ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক এই রাইটব্যাক চার দিনের সফরে ভারতে রয়েছেন। যেখানে তিনি দেশটির টেনিস কিংবদন্তি লিয়েন্ডার পেজদের নিয়ে একটি ‘অলস্টার’ প্রদর্শনী ম্যাচে মাঠে নামবেন। এছাড়াও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দাতব্য কাজেও অংশ নেবেন কাফু।

সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সম্ভাবনা ও নেইমারের ফর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাফু বলেছেন, ‘ব্রাজিল এখন আর শুধু নেইমারের ওপর নির্ভরশীল নয়, বিশেষ করে এই বছর। ভিনি, রদ্রিগো, রিচার্লিসন ও লুকাস পাকুয়েতার মতো খেলোয়াড় আছে দলে। তারাও ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে সক্ষম।’

কাফু তার এমন মন্তব্যের কারণও খোলাসা করেছেন। রোমা ও এসি মিলানের সাবেক তারকার মতে, ‘চার বছর আগে শুধু নেইমারের ওপর নির্ভর করার পরিস্থিতিটা এবার বদলে গেছে। আগে এই প্রশ্ন করা হলে বলতাম, ব্রাজিল শুধু নেইমারের দিকেই তাকিয়ে আছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।’

ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা ফুলব্যাকদের একজন হিসেবে উপরের কাতারেই থাকবেন কাফু। তার হাত ধরেই ২০০২ সালে ফ্রান্সকে হারিয়ে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এর পর থেকেই বিশ্বকাপে চলছে ইউরোপিয়ানদের আধিপত্য। ২০০৬ সালে ইতালি, ২০১০ সালে স্পেন, ২০১৪ সালে জার্মানি এবং ২০১৮ সালে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হয়।

কাফু মনে করেন, নভেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় খেলোয়াড়দেরই লাভ হচ্ছে। বিশ্বকাপ সাধারণত জুনে অনুষ্ঠিত হয়। ঘরোয়া লিগের মৌসুম তখন মাত্রই শেষ হয় বলে খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত থাকেন, ‘নভেম্বরে বিশ্বকাপটা আকর্ষণীয় হবে। কারণ, জুনে খেলোয়াড়েরা বেশি ক্লান্ত থাকে। এবার লিগ শুরু হওয়ায় খেলোয়াড়েরা সতেজ থেকেই বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে।’

কাফু বরাবরের মতোই আশা করলেন, ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপ জিতবে। তবে হাল আমলের ফুটবলে রক্ষণভাগের মান পড়ে যাওয়ায় হতাশ ৫২ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবলার, ‘মালদিনি ও নেস্তার সঙ্গে খেলতে পেরেছি। এখন কোনো ভালো ফুলব্যাক দেখি না, খারাপ লাগে। সম্ভবত মানটা পড়ে গেছে।’

আপনার মতামত লিখুন :