‘বারবার জিতে আসা প্রমাণ করে ফজলে রাব্বী মিয়া কতটা জনপ্রিয়’

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:৩৭ PM, ২৮ অগাস্ট ২০২২

জাতীয় সংসদের প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দল পরিবর্তনের পরও একটা এলাকা থেকে বারবার জিতে আসা প্রমাণ করে তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। এটি মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয়।

রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার মো, ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তার আগে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথ বলেন সংসদ নেতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ফজলে রাব্বী মিয়া) আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছেন, আওয়ামী লীগ করেছেন। এরপর জাতীয় পার্টিতে গিয়েছিলেন। পুনরায় তিনি আওয়ামী লীগের ফিরে আসেন। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসার পর আমরা তাকে সম্মান জানাই। পরে তাকে ডেপুটি স্পিকারের মর্যাদা দিয়েছিলাম। দল পরিবর্তনের পরও একটা এলাকা থেকে বারবার জিতে আসা এটা মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতারই প্রমাণ হয়। তিনি যে এলাকায় বারবার নির্বাচিত হয়েছেন সেই এলাকাটা ছিল অবহেলিত, মঙ্গাকবলিত, আমরা যখন ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি তখন সেখানে যাতে পরিস্থিতির উন্নয়ন হয় সে জন্য আমরা কাজ করেছি। তিনি পিছিয়ে পড়া ওই এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফজলে রাব্বী মিয়া যখন আমার কাছে আসতেন নিজের এলাকা নিয়ে কথা বলতেন। ওই এলাকার আরও উন্নয়ন দরকার সে বিষয়ে তিনি কথা বলতেন। আসলে তিনি মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি যখন আমেরিকা চিকিৎসার জন্য গেলেন প্রতিদিন আমি তার স্বাস্থ্য বুলেটিন পেতাম। তার সঙ্গে যারা নিয়োজিত ছিলেন তারা আমাকে সবসময় তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ-খবর জানাতেন। কিন্তু একের পর এক অবনতির খবরই আসতে থাকে। তার মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ানকে হারালাম। ভালো আইনজীবীকে হারালাম। আসলে আমরা বারবার সংসদ সদস্যদের হারাচ্ছি। এটি খুব দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া আমরা জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে হারিয়েছি। একজন ভালো মানুষকে গুলি করে মারা হলো, এটি দুঃখজনক। তিনি আমাদের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন। তিনি বাংলাদেশে অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন।’

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাঁসহ অন্যরা।

আপনার মতামত লিখুন :