অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা সাড়ে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মুল্যের হেরোইন উদ্ধার করল র‌্যাব-৫

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৪৯ PM, ১৩ অগাস্ট ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মাদক চোরাচালান চক্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বর্ডার এলাকা হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী হতে রাজধানীসহ দেশের সকল প্রান্তে মাদক সরবরাহ করে আসছিল । র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে.কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, চক্রটির সদস্যরা বর্ডার এলাকায় কৃষি কাজের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে কৃষকের ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। এতদিন আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আমরা মাদকের খুচড়া বিক্রেতা,পাচাকারী,পরিবহনকারীদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি।তবে আটককৃত মোঃজিয়ারুল ইসলাম সরাসরি বর্ডারের ওপার হতে হেরোইন আনতো। বলা যায় এবার আমরা হেরোইন ব্যবসায়ীদের গডফাদার ধরবে সক্ষম হয়েছি। মাদকের সন্ধানে র‌্যাব-৫ সর্বদা তাদের গোয়েন্দা নজরদারি পরিচালনা করে আসছিল এর প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে চক্রের সন্ধান পাওয়ার পর গোয়েন্দা নজরদারি করতে থাকে । গোয়েন্দা তথ্য মতে চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বর্ডার হতে হেরোইন সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রেন, ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় পাচার করে আসছিল।গোয়েন্দা দল এটাও শনাক্ত করে যে পাচারের পূর্বে চক্রটির মূল হোতা জিয়াউল হক বর্ডার হতে হেরোইন সংগ্রহ করে রাতে কিছু সময়ের জন্য মজুদ করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল জানতে পারে ১২ রাত এই চক্রের একটি বড় চালান পাচার হবে। তথ্যর ভিত্তিতে দুর্গম চর এলাকায় তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যাবে অপারেশন দল দীর্ঘ ৮/৯ ঘণ্টা এম্বুস করে বসে থাকে অভিযানের এক পর্যায়ে রাত্রী ৩:৩০ ঘটিকায় মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনার সময় একজন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে গেলেও মাদক চোরাচালান চক্রের মূল হোতা জিয়ারুল ইসলাম কে ধরতে সক্ষম হয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে হেরোইন মজুদের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ঘরে প্লেন সিটের বাক্্েরর নিচে অভিনব কায়াদয় লুকানো অবস্থায় উক্ত চার কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যেও হেরোইন উদ্ধার করা হয়। আসামিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে সে এবং পলাতক আসামির সঙ্ঘবদ্ধ মাদকচক্রের সাথে জড়িত। চক্রটি সদস্যরা বর্ডার এলাকায় কৃষি কাজের আড়ালে সীমান্তের ওপার হতে কৃষকের ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে থাকে এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা একত্রে মাদক সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে । মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাবের এরকম অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে আসামির বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার মতামত লিখুন :