রাবির ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টি ও যানজটে দূর্ভোগ চরমে

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:৩৯ PM, ২৬ জুলাই ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ  সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চার শিফটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে বিকাল ৫টায়। বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষার মধ্যদিয়ে তিন দিনব্যাপী এ ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু প্রথমদিনেই তীব্র যানজটর আর সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টির কবলে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী সহ রাজশাহীবাসী ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বাড়তি মানুষ ও যানবাহনের চাপে শহরজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের যানজট আশপাশের প্রধান সড়ক ও সংযোগ সড়ক পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়।

তথ্য মতে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোটাসহ চার হাজার ৬৪১টি আসনের বিপরীতে এক লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে গড়ে আরও দুজন করে অভিভাবক আছেন। এতে সব মিলিয়ে বাড়তি অন্তত চার লাখ মানুষ ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত জনবল নিয়েও রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যানজট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।

যদিও যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠুভাবে চলাচলসহ ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাটাখালী সড়ক, বিনোদপুর, কাজলা গেইট, অক্ট্রয় মোড়, রুয়েট গেইট, তালাইমারী, ভদ্রা, শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, গোরহাঙ্গা রেলগেইট, নিউমার্কেট, অলোকার মোড়, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সোনাদীঘির মোড় সড়কে যানজট সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে পরীক্ষা চলাকালীন এ সড়কগুলোতে প্রায় সময়ই যানবাহন চলাচল ১৫-২০ মিনিট করে বন্ধ হয়ে পড়ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (প্রশাসন) কর্মকর্তা মো. আতাউল আল কোরাইশি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ১২০ জন ট্রাফিক পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাতশত সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি বাইরে থেকে প্রচুর যানবাহন আসায় যানজট নিয়ন্ত্রণে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া সারাদিন টিপটিপ বৃষ্টি আমাদের বিশেষ সম্যসার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফটক বেশি ব্যবহার করায় এ এলাকায় চাপটা বেশি পড়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক যানবাহন শহরে প্রবেশ করায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :