রাষ্ট্রীয় সফরে মধ্যপ্রাচ্যে জো বাইডেন

বাংলার সকাল ডেস্কবাংলার সকাল ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৫৩ PM, ১৬ জুলাই ২০২২

বাংলার সকাল ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথমবার চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মধ্যপ্রাচ্য গেছেন জো বাইডেন। বুধবার (১৩ জুলাই) ওয়াশিংটন থেকে প্রথমে ইসরায়েলে যান বাইডেন, এরপর সেখান থেকে ফিলিস্তিন হয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) সৌদি পৌঁছান তিনি।

সৌদি পৌঁছানোর পর ওই দিনই সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন জো।

রিয়াদে যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, বৈঠকের শুরুতেই আমি জামাল খাসোগি’র ইস্যুটি তুলেছি এবং একদম সরাসরি ও স্পষ্টভাবে যুবরাজকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেছি।

আমি বলেছি, মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই সোচ্চার। আমি সেই দেশের প্রেসিডেন্ট এবং আমি সবসমই আমাদের মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াবো।

পাশপাশি তাকে এই ইঙ্গিতও দিয়েছি যে, আমি মনে করি এই হত্যায় তার (যুবরাজ) সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে নিয়মিত কলাম লিখতেন। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন জামাল খাসোগি। পরে জানা যায়, তাকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পক্ষ থেকেও বলা হয়, ওই খুনের আদেশ স্বয়ং যুবরাজ মোহাম্মদ দিয়েছেন বলে তাদের বিশ্বাস।

সৌদি কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ ঘটনায় যুবরাজের জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে। পাশাপাশি দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্য কোনো দেশের এজেন্টরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

বাইডেন আরও বলেন, তিনি (মোহাম্মদ বিন সালমান) আমাকে বলেছেন— তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত নন। পাশাপাশি আরও বলেছেন, যারা (এ হত্যায়) সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সৌদি যুবরাজের পাশাপাশি দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজের সঙ্গেও বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

আপনার মতামত লিখুন :